Sale!

জোছনাময়ী

Original price was: ৳ 300.00.Current price is: ৳ 210.00.

Description

জোছনাময়ী

জোছনাময়ী

রুবাইদা গুলশান ভয়ঙ্কর মেধাবী। সময়ের সাহসী যোদ্ধা।’ এই বক্তব্য কবি আসাদ চৌধুরীর। অমর একুশে বইমেলা ২০১৮ সালের কথা। ‘সেফটিপিন’-এর মোড়ক উন্মোচনে আলো ঝলমলে এমন অনেক কিছুই বলেছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত এই কবি।

রুবাইদা গুলশানের লেখালেখি নিয়ে আমার বক্তব্য সাহিত্য সমালোচনা নয়। তাঁর সামান্য পাঠক হিসেবে ভালোবাসা-মুগ্ধতা মাত্র। সকল প্রাণ দিয়ে বলি, শতভাগ বিশ্বাসের সাথে বলিÑবিশ্বাসী নারীদের লেখালেখির ভুবনে কয়েকজন শক্তিমান সব্যসাচীর অদ্বিতীয় একজন রুবাইদা। তাঁকে এড়ানো যায়, উপেক্ষা করা যায় কিন্তু অস্বীকার করা যায় না।
অল্প সময়ের লেখালেখিতে রুবাইদা গুলশানের অর্জন কম নয়। প্রকাশনার ১০ বছরে তিনি আটটি বইয়ের নিপুণ স্রষ্টা। অগণিত পাঠকের ব্যাপক ভালোবাসা, পরম স্নেহ, অতল শ্রদ্ধা এবং বিপুল সমর্থনও পাচ্ছেন তিনি। বইমেলায় একজন জ্যেষ্ঠ পাঠক ব্যাকুল কণ্ঠে বলেন, ‘মা, তুমি রুবাইদা গুলশান? তোমার লেখা আমি নিয়মিত পড়ি। আমি বারবার মুগ্ধ হই। মা, তোমাকে দেখে আমি মনে খু-উ-ব শান্তি পেলাম।’ পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় এসে শুভ্র শ্মশ্রুমণ্ডিত ওই ভদ্রলোক এভাবেই তাঁর মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তাঁর ভাষ্যমতে, শুধু লেখককে একনজর দেখার জন্যই মেলায় এসেছেন তিনি। লেখকের জীবনে এসবই আশীর্বাদের জোসনা। ঊষর মরুভূমিতে ভালোবাসার বৃষ্টি।
রুবাইদার বয়ানের ভিন্নতা বেশ লক্ষ্যণীয়। তাঁর দুরন্ত টগবগে বজ্রকলমই তাঁকে আলাদা করার অন্যতম মাধ্যম। তাঁর লেখায় মানবতা, চেতনাবোধ, দেশপ্রেম, ধর্মপ্রেম, ধর্মীয় মূল্যবোধ, আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতির নান্দনিকতা সমানভাবে প্রস্ফুটিত। তাঁর অসাধারণ ইসলামী চিন্তা-চেতনা, অনুসরণীয়-অনুকরণীয় দর্শন বিশ্বাসীদের পরমপ্রিয় আশ্রয়।
রুবাইদা গুলশানের সহজ-সরল ভাষাভঙ্গিমা, ভণিতা ছাড়াই নিরেট সত্য প্রচারের মুন্সিয়ানা, তিতা কথাকে মিষ্টি করে উপস্থাপন করা, আল কুরান-আল হাদিসের ঐশী দ্যুতিকে অন্ধকারে ছড়িয়ে দেয়া তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস। সর্বোপরি তাঁর ইহজাগতিক সামান্য চাওয়া-পাওয়ার অসামান্য অনীহা তাঁকে ‘চির উন্নত মম শির’সম প্রতিষ্ঠা দেবে বলে আশা রাখি। সময়ই সেটা বিচার করবে।
‘সেফটিপিন’ বইটির জন্য রুবাইদা গুলশান ২০১৮ সালে নজরুল একাডেমি শেখ ফজলল করীম সাহিত্য সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘অরণ্যের গুঞ্জন’-এর জন্য লাভ করেন ঢাকার আসওয়াম ফাউন্ডেশন সম্মাননা।
রুবাইদার জন্ম ঠাকুরগাঁওয়ে। পৈতৃক নিবাস যশোরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর তারুণ্যের এই আইকন। সদা হাস্যোজ¦ল মিষ্টিমুখ রুবাইদা গুলশানের জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক রুবাইদার জন্য অজস্র শুভকামনা।
জিয়া হক

সূ চি প ত্র

গাল বেয়ে ঝরে পড়ে ফুলের অভিমান
উচিত শিক্ষা
বন্ধন
জোছনাময়ী
সেফটিপিন
ছোঁয়া
চিরকুটের ফুল
নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি
তারার ফুল
দূরত্বের শেষ প্রহরে
অনুমান
সাপ
স্বপ্ন
এবং অরণ্য
পূর্ণতা
আশা
কলঙ্কিনী
মেঘে ঢাকা নীলাকাশ
মায়াবী ঘুম
যাও পাখি
ব্যাচেলরস বাটন
ক্ষণিক

গাল বেয়ে ঝরে পড়ে ফুলের অভিমান

আজকাল ফুলঝুরির কী যেন হয়েছে। মাটিতে পা দিয়ে মনে হয় সে মাটির উপর হাঁটছে না। সে যেন হাওয়ার উপর ভর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। নিজের শরীরকে পাখির পালকের মতো হালকা লাগছে ফুলঝুরির। ফুলঝুরির কান্না পাচ্ছে আর অস্বস্তি লাগছে তবুও মা রেণুর সাথে কিছু বলতে পারছে না। ফুলঝুরি এমন একটা চাপা স্বভাবের মেয়ে, যে কখনো নিজের কষ্টগুলো কাউকে বলতে পারে না। একা একা কষ্ট মেনে সামনে এগিয়ে যাওয়া যেন ওর কাজ। ফুলঝুরি ফুলের মতো একটা মেয়ে। যাকে দেখলে আদর করতে ইচ্ছে করে। এই মেয়েটি সদ্য এসএসসি পাস করেছে। গত পরশু ফুলঝুরিকে পাত্রপক্ষ দেখতে এসেছে। পাত্র দেখতে অনেক সুন্দর। এত সুন্দর মানুষ ফুলঝুরির একদম পছন্দ না। আর তার উপর বিয়ে তো একদম না। কিন্তু কী আর করা। ফুলঝুরির পারিবারিক অবস্থা ভালো না। বাবা তার জন্মের সময় মারা গিয়েছে। সংসারে মানুষ মাত্র দুজন। মা একটা সুপারশপে কাজ করেন। সেই শপ থেকে যে টাকা পান, তা দিয়ে কোনোভাবে জীবন চলে, তবে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা নয়। ফুলঝুরিকে দেখতে আসা পাত্রপক্ষ বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করেছে। আসছে শনিবার ফুলঝুরির বিয়ে। কিন্তু ফুলঝুরি বিয়ে করতে চায় না। সে পড়তে চায়। সে হতে চায় আকাশের মতো উদার, সে হতে চায় নির্মল ফুলের মতো, সে মানুষের জন্য অনেক কিছু করতে চায় কিন্তু মানুষ যা ভাবে তাই কি সে করতে পারে? তবে কি স্বপ্নগুলো আর পূরণ হবে না! এসব ভাবনাগুলো ফুলঝুরিকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। অমাবস্যা। এমনই এক অন্ধকার রাত্রিতে ফুলঝুরির বিয়ে হয়ে যায় জায়ানের সাথে। ফুলঝুরি খেয়াল করে, যেদিন থেকে বিয়ের কথাবার্তা চলেছে, ঠিক সেদিন থেকে এমন হচ্ছে। মনে হচ্ছে সে হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছে। দিনদিন এ-ই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে।

 

 

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “জোছনাময়ী”

Your email address will not be published. Required fields are marked *