Sale!

গল্পে গল্পে ভাস্কুলার রোগ ও প্রতিকার

Original price was: ৳ 200.00.Current price is: ৳ 140.00.

Description

গল্পে গল্পে ভাস্কুলার রোগ ও প্রতিকার

গল্পে গল্পে ভাস্কুলার রোগ ও প্রতিকার

লেখকের কথা

দেশে প্রতিনিয়ত ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি ভাস্কুলার রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। অনেকেই জানেন না যে, তিনি ভাস্কুলার রোগে ভুগছেন এবং কী করবেন? অথচ অনেক ভাস্কুলার রোগ সময়মতো সঠিক চিকিৎসা নিলে ভালো হওয়া সম্ভব। কিছু কিছু ভাস্কুলার রোগ সময়মতো নির্ণয় করা এবং সঠিক চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে না পারলে রোগীদের অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে, এমনকি অঙ্গহানিও ঘটতে পারে। সারা বিশ্বে যত অঙ্গহানি ঘটে, তার একটি অন্যতম কারণ ভাস্কুলারজনিত সমস্যা। বিভিন্ন ভাস্কুলার রোগ, প্রতিকার এবং সচেতনতা নিয়ে অনেক দিন থেকেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিয়মিত প্রকাশনা ‘কার্ডিয়াক বার্তা’য় লেখালেখি করছি। আমি চিন্তা করলাম আমার প্রকাশিত লেখাগুলো একত্রিত করে সংকলন করলে এবং আরও কিছু রোগ ও প্রতিকার বিষয়ে লিখলে ভাস্কুলার রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষ সহজেই একটা ধারণা পাবে। তারই ধারাবাহিকতায় আমি চেষ্টা করেছি সহজ-সরল ভাষায় গল্পের মাধ্যমে ভাস্কুলারের বিভিন্ন রোগ তুলে ধরার। চেষ্টা করেছি গল্পগুলো নির্ভুলভাবে লেখার। অনিচ্ছাসত্ত্বেও কিছু ভুল-ত্রুটি থাকবে, যা পাঠকেরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখবেন বলে আমার বিশ্বাস।
এই বই লিখতে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অধ্যাপক ডা. জি এম মকবুল হোসেন স্যারের কাছ থেকে। কৃতজ্ঞতা জানাই অন্যান্য শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, সহকর্মীদের প্রতি, যাদের কাছ থেকে নানাভাবে শিখেছি। এ ছাড়া বন্ধু, স্বজনসহ আরও অনেকেই বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা আমার রোগীদের প্রতি, যাদের জীবন থেকেই এই গল্পগুলো এবং বিভিন্ন রোগের ছবিগুলো নেওয়া।
সর্বোপরি মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি। আমি আশা করি, ‘গল্পে গল্পে ভাস্কুলার রোগ ও প্রতিকার’ বইটি সাধারণ মানুষকে ভাস্কুলার রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও সচেতনতা তৈরিতে অনেক সহায়তা করবে।

ডা. জুবায়ের আহমেদ
সহযোগী অধ্যাপক ও কনসালট্যান্ট
ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগ
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকা।
ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সমস্যার নাম ভ্যারিকোস ভেইন

পায়ের চামড়ার নিচে আঁকাবাঁকা শিরার ফুলে ওঠা সমস্যার নাম ভ্যারিকোস ভেইন। জন্মগতভাবে শিরার ভালভ দুর্বল থাকলে এমন হতে পারে। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তি এবং অতিরিক্ত মোটা, গর্ভবতী নারী, পেটে টিউমার বা পানি জমার মতো রোগ হলেও এমন সমস্যা হতে পারে। একে তখন সেকেন্ডারি ভ্যারিকোস ভেইন বলে।
শুরুতে তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। পা ভারী ভারী লাগে, পায়ের শিরায় টান লাগে, বিশেষ করে ঘুমের মধ্যে। দাঁড়িয়ে থাকলে বা ভ্রমণ করলে পা ফুলে যায়, যা আবার পরে কমেও যায়। পা কালো হয়ে যেতে পারে, ত্বক শক্ত হয়ে যেতে পারে। রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, রক্তক্ষরণ হতে পারে, এমনকি আলসার বা ক্ষতও হতে পারে। পায়ের শিরা নীল হয়ে ফুলে উঠলে রোগটি দেখেই চেনা যায়।

পায়ে ঘা হলে যা করবেন

পায়ের দীর্ঘমেয়াদি ঘা, যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ননহিলিং আলসার। এই রোগে অনেকে ভুগছেন। কোনো কিছুতে এই ঘা ভালো হচ্ছে না। তাদের কী করণীয় তা নিয়েই এই লেখা।
কী কী কারণে এই রোগ হয়
এই রোগের প্রধান কারণগুলো আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। প্রথম কারণ হচ্ছে ধমনির ব্লকজনিত সমস্যাÑ যাকে আমরা বলি ইস্কেমিয়া বা রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ঘা শুকনা থাকে। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে ভেনাস আলসার বা শিরায় সমস্যাজনিত কারণ। এ ক্ষেত্রে ঘা থেকে রস পড়ে, পা ফোলা থাকে। ভেনাস আলসার মূলত দুই শ্রেণির রোগীর হয়ে থাকে।
১. যাদের দীর্ঘ সময় জার্নি করলে বা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে বা বসে থাকলে পা ফুলে যাওয়ার ইতিহাস আছে। যাকে মূলত ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি (ঈঠও) বলে।
২. আরেক শ্রেণির রোগী হচ্ছে যাদের হঠাৎ করে পা ফুলে যাওয়ার ইতিহাস থাকে। যাকে বলা হয় ডিপ ভেইন থ্রোম্বোসিস (উঠঞ) বা মাংসের গভীরের শিরা বন্ধ।
দীর্ঘমেয়াদি ঘা ডায়াবেটিস রোগীদের একটা খুবই সাধারণ সমস্যা, যাকে বলা হয় ডায়াবেটিক ফুট আলসার। এটা মূলত ইস্কেমিয়া বা রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া, নিউরোপ্যাথি বা পায়ের অনুভূতি কমে যাওয়ার কারণে এবং ফুট ডিফরমেটি বা পায়ের আকার এবং গঠনের পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে। এ ছাড়াও কিছু ক্রনিক ইনফেকশনের কারণেও পায়ের দীর্ঘমেয়াদি ঘা হতে পারে, যেমন টিউবারকুলার আলসার বা যক্ষ্মার কারণে পায়ের এই রোগ হতে পারে। আরও নানাবিধ কারণে এই রোগ হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি পায়ের ঘায়ের ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে ধূমপান, বার্জার্স ডিজিজ, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস, ডিসলিপিডেমিয়া, ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি, মাংসের গভীরের শিরা বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্যতম।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “গল্পে গল্পে ভাস্কুলার রোগ ও প্রতিকার”

Your email address will not be published. Required fields are marked *