সকালটা যেন মৃদু সঙ্গীত আর প্রাণায়ামের মাঝে শোধিত হয়ে আমাকে আলফা পর্যায়ে পৌঁছাতে অনুমতি দিচ্ছে। আমি বছরের পর বছর যোগচর্চা করে নিজেকে এ বিষয়ে দক্ষ করে তুলেছি আর সে কারণে আমি কয়েক মিনিট ধ্যানের বদলে অন্য কিছু চাইছিলাম। আমি অধীর আগ্রহে সেই পর্যায়ে পৌঁছানোর অপেক্ষায় আছি, যেটি কাউকে অস্তিত্বের অংশ হিসেবে নিবিষ্ট করতে এবং প্রজাতি, দৈহিক উচ্চতা নির্বিশেষে অন্যদের
অস্তিত্বকে চিহ্নিত করতে অনুমতি দেয়। এক্ষেত্রে আরো কিছুটা এগিয়ে যেতে আমার উৎসাহের অন্ত ছিল না।
‘নী লু! নীলু!’ বিনিয়া ডাকছে।
মেয়েটা আদুল পায়ে পাহাড়ের নুড়িপাথর বেয়ে আঁচড়ে পাছড়ে উঠছে, এই গরমে ঘাসের বন মাড়িয়ে ছুটছে; ছুটতে ছুটতে একেবারে পাহাড়ের চুড়োয় উঠে গেলো। সারাক্ষণ সে ‘নীলু, নিলু’ বলে ডাকছিল। নীলু হচ্ছে ওদের ছাই-নীল গাইটা। ওদের আরেকটি গাই আছে তার নাম গোরি। ‘গোরি’ মানে ফর্সা। দুটোতে কেবল আপন মনে ঘুরে বেড়ায় নিচে পাহাড়ি ছড়ায় গিয়ে নামে,
গভীর পাইনবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে